Friday, February 2

নেই

সেই যে, হাঁটতে গেলে সাহায্য লাগতে পারে ভেবে পা নামানো। ছোটো হইচই। রঙ, বেলুন। কিন্তু ক'দিন বাদে ফাঁকা। হরিবোল তুলে চলে গেল কেউ। ধোঁয়াও দেখলাম না। তবু চোখ জ্বলল। সান্ত্বনা খুঁজবো কিন্তু কেউ গুঁজে রাখে নি কোথাও। চেয়ে দেখছি অবিরাম এ উদাসী বিন্দাসনেস। জীবন কেই কে জল দেয়, মৃত্যু ত রবাহূত। ঝনঝন আসছে সাইকেল নিয়ে চানাচুর। এক পরিচিতা চাইলেন। পয়সা নেই। তাও জোর করে দিচ্ছে। কোনো দ্রষ্টা এতে নির্লোভ দান দেখছে না। স্বাভাবিক, দেয়ানেয়া ছাড়া যা কিছু হয় তা সক্কল আইসবার্গ। নীচে শুধুই সন্দেহ। আজীবন যে বোঝা সামলানোর আর্টকে এক কথায় সামাজিক বলে। এই পঙ্গপালদের ভয়ে ক্ষেতেই গেলাম না। সন্ধ্যে এসে ছিনিয়ে নিল দিন। রাতের নগ্ন শরীরে মুখ গুঁজে হিরোইজম নেই। কখনো ফিরবে না জেনে যাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে এলাম, স্টেশনের বাইরে তার জন্যে কোনো বিরহ নেই।
নেই। এত ছোটো শব্দ টা নিজের পরে বসাতে গেলে বুকে স্রোত আসে। আমি গাছ খুঁজি। সেই গাছ যাকে পোঁতাই হয় নি কখনো। এত বিপুল অসহায়তা গায়ে জড়িয়েই শুতে হয়।এক একটা চলে যাওয়া- এক একটা ট্রেন আসছে যাচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম কাঁপছে। চানাচুরওয়ালার ডিবি সবই। মিশতেই চলেছে- কার হাতে কা পতা।

Wednesday, January 24

ঘটনা

যা ঘটে তাই কি ঘটনা? মনে হয় না। কয়েক দিন আগে আমি একটা দৃশ্য ভেসে উঠতে দেখেছি, যেটা ঘটেছে আজ থেকে কয়েক বছর আগে।
বি.এস সি দ্বিতীয় বর্ষের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য একটা পরিবেশ বান্ধব ভ্রমণের পেপার জমা দিতে হয়। তার জন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়া দরকার। সবাই ঠিক করলো যে জলপাইগুড়ি যাবে । আমিও হ্যাঁ তে হ্যাঁ দিলাম। প্রায় ছহাজার টাকা। একটু কষ্ট হলেও, জোগাড় হয়ে গেল।
বাড়ি থেকে যে একটা দৃশ্য মনে এঁকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা ঠিক মিললো না।
বাঘ, হাতি, বাইসন, গণ্ডার দেখলাম কিন্তু ওয়াচ টাওয়ার থেকে। খুব ভালো ভাবে না।
ভালো ভাবে যেটা দেখলাম চা বাগান, শাল গাছ, জলঢাকা আর ভুটানের কিছু লোক। আর দেখেছিলাম একটা গণ্ডার নুন খেতে খুব কাছে এসেছিল, তার সাথে একটা খুব সুন্দর ছোট্ট বাচ্ছা।
এটা তো সত্যি ঘটেছিল তাই ঘটনা কিন্তু যেটা কয়েক দিন আগে মার সাথে হয়েছিল সেটা কি?
কয়েক দিন আগে আরাগুয়েনা থেকে আমার ফেসবুকের বান্ধবী এলইসা রদ্রিগেস একটা ছবি পোস্ট করেছিল । একটা এম গাছের নিচে অনেক আম পড়ে। মনটা তখনই ওই গাছটার নিচে যেতে চাইছিলো। কিন্তু পারলাম না।
সেই গণ্ডারের বাচ্ছাটা আমার সামনে এসে সেদিনের ওয়াচ টাওয়ারে থাকা লোকজনের মতোই আমার দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে চেয়ে ছিল।
সে বলে গেলো, 'যারা নিজেরাই বন্দি তারা আর আমাদের কি বন্দি করবে'। মনটা কেমন মুচড়ে উঠলো। কিন্তু মনকে শান্ত করে বাস্তবে ফিরে এলাম আর মনের কথা লিখলাম।
আমি আর সেই গণ্ডারের বাচ্ছাটার কথা ভেবে মন খারাপ করি না । আমি আমার কথা ভাবি , আমাদের মতো যারা আছে তাদের কথা ভাবি।
আমি সময় পেলে মাঝে মাঝে সেই ছবিটা দেখি। আর অভিশাপে জর্জরিত করি কাঁটাতার, কিছু কালিমাখা দাগকাটা কাগজকে যেগুলো ছাড়া আমি বাস্তবে কোনোদিন হয়তো ওই আম গাছের নিচে যেতে পারবে না।

ক্রাইসিস টু হ্যাপিনেস

ক্রাইসিস মানে সংকট। আমাদের যাপিত জীবনে সংকটেরতো অভাব নেই, এবার এই সংকটগুলো সবচেয়ে বেশি কাদের হচ্ছে? জানি আমাদের মানে এই প্রজন্মেরই। প্রশ্ন ...